তথ্য ও প্রযুক্তি

ফ্যান ঘোরার গতির ওপর বিদ্যুৎ খরচ নির্ভর করে?

0
fan

দেশজুড়ে, বলা যায় বিশ্বজুড়ে বেড়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ, ফলাফল নিয়মিত লোডশেডিং। ভয়াবহ এই দুর্ভোগের কবলে রাজধানীসহ সারাদেশ।

তাই বিদ্যুৎ খরচ কমানো নিয়ে কমবেশি সবাই উদ্বিগ্ন। প্রশ্ন হলো কিভাবে?
আমরা বৈদ্যুতিক ফ্যান চালাই বাসা-বাড়ি, অফিস-আদালতে। তবে আমরা তো আর সব সময় একই গতিতে বৈদ্যুতিক পাখা বা ফ্যান চালাই না। গরম যখন অসহ্য মাত্রায় বেশি হয় কেবল তখন এবং যখন বাইরে থেকে ঘর্মক্লান্ত হয়ে ফিরি তখন ফ্যানটা পূর্ণগতিতে ছেড়ে দেই।

আবার ফ্যানটা কম গতিতে বাতাসও তুলনামূলকভাবে কম পাওয়া যায়। তাহলে স্বভাবতই বিদ্যুৎ খরচও কম হওয়ার কথা। কিন্তু বিদ্যুৎ খরচ আদৌ কি কম হয়?
রেগুলেটরের কাঁটা ঘুরিয়ে এক বা দুই নম্বরে রাখলে ফ্যান চলে ধীরগতিতে। আবার রেগুলেটরের কাঁটা ঘুরিয়ে পাঁচ নম্বরে দিলে ফ্যান চলে পূর্ণগতিতে। কারণ হচ্ছে রেগুলেটরের ভেতরের রোধ বা রেজিস্ট্যান্স ব্যবস্থা। রেগুলেটরের কাঁটা যখন এক বা দুই নম্বরে দেওয়া হয় তখন রোধ শক্তি বেশি থাকে। অর্থাৎ মূল সরবরাহ থেকে বিদ্যুৎ প্রবাহ রেগুলেটরে এসে রোধের সম্মুখীন হয়। ফলে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ প্রবাহ রেগুলেটরের ভেতর এসেছে, তার তুলনায় অনেক কম প্রবাহ ফ্যানে যায়। কাজেই ফ্যানও ঘোরে ধীরগতিতে।

আবার রেগুলেটরের কাঁটা যখন পাঁচ নম্বরে দেওয়া হয় তখন রেগুলেটর হয় রোধমুক্ত। ফলে যতটা বিদ্যুৎ প্রবাহ রেগুলেটরে আসছে ততটাই সরাসরি ফ্যানে চলে যাচ্ছে। সুতরাং ফ্যানটাও ঘুরছে পূর্ণগতিতে।

তবে কি হিসাবটা এমন ফ্যান ধীরে চললে যে কম বিদ্যুৎ নিচ্ছে। আবার জোরে ঘুরলে সে সত্যিকার প্রয়োজনমতো বিদ্যুৎ টানছে?

উত্তর না। কেননা এর মধ্যে আরও একটা কিন্তু আছে। রেগুলেটরের মধ্যে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ এসে পৌঁছেছে তার সবটুকুই মিটার পেরিয়ে আসতে হচ্ছে। সুইচ অন করার সঙ্গে সঙ্গে ফ্যানটা পূর্ণগতিতে চালানোর জন্য যে বিদ্যুৎ প্রবাহের দরকার, তার সবটুকুই মিটার হয়ে তারপর চলে আসছে সুইচ, তারপর রেগুলেটর হয়ে যাচ্ছে ফ্যানে। সুইচ থেকে আসছে একেবার রেগুলেটর পর্যন্ত। তারপর রেগুলেটর থেকে বিদ্যুৎ প্রবাহের পরিমাণ প্রয়োজনমতো নিয়ন্ত্রণ করে নিচ্ছেন।

এর মানে ফ্যান ধীরে চালিয়ে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ বাঁচানো যেত, তা রেগুলেটরের মধ্যে আপন মনে পুড়ে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। তাহলে লাভ আর কী হলো? তবে হ্যাঁ, ফ্যানের গতিবেগ কমিয়ে ইনডাকশন পদ্ধতির রেগুলেটর ব্যবহৃত হলে বিদ্যুৎ খরচ সামান্য একটু কম হতে পারে। আমাদের আবাসিক বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই সামান্য বিদ্যুৎ কমার পরিমাণ এতটাই সামান্য যে, হিসেবের মধ্যেই পড়ে না।

আরও পড়ুনঃ জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা গভীর মহাকাশে আলোর সবচেয়ে উজ্জ্বল ঝলকানি দেখে বিস্মিত

১৩ বছর ধরে নারীদের রেইনকোট চুরি!

Previous article

৬২ বছর ধরে চলছে সিঙ্গারার ব্যবসা

Next article

You may also like

Comments

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *